শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট, ইন্টারনেটে সুরক্ষা, দায়িত্বশীলতার সঙ্গে স্বাধীন মতপ্রকাশ, ডিজিটাল আইন, ডিজিটাল অপরাধ, অনলাইনে ব্যক্তি পরিচয়, মিথ্যাচার ও ভুল খবর প্রচার ইত্যাদি সংক্রান্ত সচেতনতা ডিজিটাল দুনিয়ায় তাদের মুক্ত ও নিরাপদ বিচরণ নিশ্চিত করতে পারে।
সোমবার ঢাকায় সামাজিক সংগঠন ডিনেট আয়োজিত Advocacy Dialogue: awareness and protection of digital citizenship and rights শীর্ষক কর্মশালায় এবিষয়ে নানা কার্যকর ও বাস্তবমুখী পরামর্শ উঠে আসে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)’র অর্থায়নে, ডিনেট এবং ফ্রেডরিক নওম্যান ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম’এর যৌথ আয়োজনে ‘Foster Responsible Digital Citizenship to Promote Freedom of Expression in Bangladesh’ প্রকল্পটির অধীনে আয়োজিত এই কর্মশালাটিতে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন গণ্যমান্য আইনজীবী ও স্বনামধন্য মিডিয়ার প্রতিনিধিরা যারা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সমাবেশস্থলের ৫ কিলোমিটার জুড়ে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ
আর্টিকেল ১৯ এর আঞ্চলিক পরিচালক ফারুক ফাইসেল বলেন, ‘বাংলাদেশে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট -এ এর নির্দিষ্ট সংজ্ঞা থাকা জরুরি ছিল। কোন বিষয়গুলো ভাবমূর্তির মধ্যে পরবে বা ক্ষুণ্ণ হবে না তাও উল্লেখ করলে জনসাধারণের জন্য বুঝতে সহজ হতো। একই সঙ্গে সাইবার সিকিউরিটি ও সাইবার ক্রাইম শব্দগুলোর পরিষ্কার ব্যাখ্যা থাকা দরকার। এর প্রয়োগ সুষ্ঠুভাবে না হলে তা বাংলাদেশের জন্য বদনাম বয়ে আনবে”।
ফেসবুকে আপত্তিকর ছবি পোস্ট, মানহানি বিষয়ক সবচেয়ে বেশি মামলা হচ্ছে। কিন্ত মামলার অগ্রগতি কম হচ্ছে বলে মত প্রকাশ করেন আইনজীবীরা।